গর্ভবতী মহিলারা পাকিস্তানের বন্যার পর পরিচর্যার জন্য লড়াই করছে
জহির ভূইয়া
শাকিলা বিবির গর্ভাবস্থার প্রথম পাঁচ মাস চলে গেছে। তিনি বাড়িতে নিয়মিত চেকআপ এবং ওষুধ গ্রহন করেছেন। কিন্তু তারপরে একটি পরীক্ষায় জানা যায় যে শিশুটি উল্টে গেছে। ডাক্তার বিবিকে বাড়তি যত্ন ও বিশ্রাম নিতে বলেন। এরপর এই গ্রীষ্মের বিশাল বন্যার কবলে পড়ে পাকিস্তানের সাধালণ মানুষ। পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাজনপুরে বিবির বাড়ি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
গত মাসে যখন তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাথে কথা বলেছিলেন, তখন তিনি বাস্তুচ্যুত পরিবারের জন্য একটি শিবিরে বসবাস করছিলেন। তার সন্তান জন্ম দেবার নির্ধারিত তারিখ ঘনিয়ে আসার পর কোনও স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা না থাকায় সন্তান জন্মের সম্ভাবনা নিয়ে ভীত হয়ে পড়েন।
এ প্রসঙ্গে বিবি বলেন, “আমার স্বাস্থ্য হঠাৎ খারাপ হলে কি হবে? আমি দুই মাস ধরে একটি শিবিরে ছিলাম, মাটিতে ঘুমাচ্ছিলাম এবং এটি আমার পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলছে।” শাকিলার ড. তার রক্তের ঘাটতি এবং কখনও কখনও নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেছিলেন যে শাকিলা এ শিবিরে সঠিক খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না।
গর্ভবতী মহিলারা পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যার পরে যত্ন নেওয়ার জন্য লড়াই করছে। পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে চলে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রজনন স্বাস্থ্য সংস্থা পপুলেশন কাউন্সিলের মতে, বন্যাকবলিত এলাকায় কমপক্ষে ৬১০,০০০ গর্ভবতী মহিলা রয়েছে।